৪৮ ভবন ভাঙতে ফের নোটিশ

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ২০১০ সালে যৌথভাবে মহানগরের ১৫৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮টি ভবন ভেঙে ফেলতে ওই বছরের শেষ দিকে নোটিশ পাঠানো হয়। তাতে কোনো কাজ হয়নি। সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর কেসিসি নড়েচড়ে বসে। ওই সব ভবন ভাঙতে সম্প্রতি মালিকদের দ্বিতীয় দফায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

কেসিসি সূত্র জানায়, কেসিসি ও কেডিএ ২০১০ সালে খুলনা মহানগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে। কেসিসি, কেডিএ, জেলা প্রশাসন, খুলনা মহানগর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিস্ফোরক পরিদর্শক অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, আইনজীবী সমিতি, নাগরিক ফোরাম ও খুলনা প্রেসক্লাবের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি সরেজমিন পরিদর্শন করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮টি ভবনের তালিকা করে। এর ২৬টি ভবন সম্পূর্ণ, ১৭টি আংশিক ও পাঁচটি ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলতে ওই বছরের ১০ অক্টোবর মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। এর পর মালিকদের কয়েকজন মামলা করেন। এ কারণে কেসিসি কর্তৃপক্ষ আর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

কেসিসির ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার সম্প্রতি জানান, চলতি বছরের ৮ মে দ্বিতীয় দফায় আবার এক মাস সময় দিয়ে ওই সব ভবনের মালিকদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ভবনগুলোর অধিকাংশের মালিক জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগ। জেলা প্রশাসনের ভবনগুলো ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

কেডিএর অথরাইজড কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে ৩৫টি সুউচ্চ ভবন রয়েছে এবং আরও কয়েকটি নির্মাণাধীন। এর প্রায় সব নীতিমালা মেনে নির্মিত হয়েছে। তবে ১৯৯৬ সালের আগে নির্মিত সুউচ্চ ভবনগুলোর ক্ষেত্রে কেডিএ ছাড়া অন্য সংস্থার অনুমোদন নেই।