পুলিশ হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গত সোমবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মতিয়ার রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তিনি ডাকাত দলের সদস্য।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, মতিয়ারের বিরুদ্ধে তিন থানায় দুটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কনস্টেবল হাদেক আলী হত্যা মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ২০০১ সালে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কে হাদেক আলী ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হন। দুই বছর আগে মতিয়ার উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, পুলিশের একটি দল সোমবার রাত তিনটার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের পাতিবিলা িব্রজের পাশে টহলে ছিল। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতেরা পিছু হটে যায়। পরে ঘটনাস্থলে মতিয়ারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গোবরাপাড়া গ্রামের নেকবর হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় দুই কনস্টেবল সৈয়দ রেজা ও সঞ্জয় কুমারও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, দুটি গুলি, দুটি রামদা ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মতিয়ারের বড় ভাই জামাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই দীর্ঘদিন বাড়িছাড়া। সে কালীগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া করে থাকত। ব্যবসা-বাণিজ্য করত। চুরি-ডাকাতির মধ্যে ছিল কি না, তা আমাদের জানা নেই। পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে দিয়েছে বলে শুনেছি।’