রাঙামাটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ১

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের উত্তর ফটকে আজ ভোরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। সকালে পুলিশের সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বোমা বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্য। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের উত্তর ফটকে আজ ভোরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। সকালে পুলিশের সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বোমা বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্য। ছবি: সুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুশীল চাকমা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সুশীল হামলার দায় স্বীকার করেছেন।

আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে তাঁকে আটক করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ছিলেন।

আজ ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার মধ্যে শহরের কালিন্দীপুর এলাকার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের পাশে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের উত্তর ফটকের সামান্য ভেতরে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। বিস্ফোরণটি গ্রেনেড বলে ধারণা করছে পুলিশ।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, আসামি বিস্ফোরক হামলার দায় স্বীকার করেছেন।
পুলিশ বিস্ফোরণস্থলটি হলুদ টেপ দিয়ে ঘিরে রেখেছে। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই জায়গায় সামান্য গর্ত হয়েছে। তা ছাড়া পাশের দেয়াল, লিচুগাছ ও গাড়িতে ছোট ছোট ছিদ্র দেখা গেছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময়ে রাঙামাটির পুলিশ সুপার আমেনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিস্ফোরণটি গ্রেনেড মনে হচ্ছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এসে পরীক্ষা করলে বিস্ফোরণটি গ্রেনেড কি না, তার সঠিক তথ্যটি জানা যাবে।’

আঞ্চলিক পরিষদের তথ্য কর্মকর্তা অম্লান চাকমার ভাষ্য, বিস্ফোরণে সবচেয়ে কাছে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি জিপ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার পাজেরো জিপসহ আরও দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার ব্যক্তিগত সহকারী বরুণ কুমার চাকমার ভাষ্য, যারা চুক্তি বাস্তবায়ন চায় না, তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে বিস্ফোরণটি সন্তু লারমার প্রাণনাশের চেষ্টা নয় বলে মন্তব্য করে বরুণ কুমার চাকমা বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টি এবং পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে এটি করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান। ১৯৯৭ সালে সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে সই হওয়া পার্বত্যচুক্তির শর্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।

আরও পড়ুন