সুন্দরগঞ্জে চার পুলিশ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র পেশ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বহুল আলোচিত চার পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এতে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জামায়াতদলীয় সাবেক সাংসদ মাওলানা আব্দুল আজিজসহ ২৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও গতকাল সোমবার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসে।
জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে চারজন পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত তিন দফায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। তদন্তকাজে বিলম্ব হওয়ায় অভিযোগপত্র দিতে দেরি হয়েছে। আমি সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা।’ তিনি জানান, ‘ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ১০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার প্রতিবাদে জামায়াত-শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর করেন। তাঁরা বামনডাঙ্গা তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে চারজন পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেন। নিহত কনেস্টবলরা হলেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রহমতচর গ্রামের তোজাম্মেল হক, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কিশামত গোবধা গ্রামের হজরত আলী, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামের বাবলু মিয়া ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার খামার ধনারুহা গ্রামের নাজিম উদ্দিন।
পুলিশ হত্যার ঘটনায় বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক সাংসদ আব্দুল আজিজসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়।