ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশ কেন নয়

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে তফসিল ঘোষণার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত পৃথক দুটি রিটের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করেন।

বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকারসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, অর্থসচিবসহ আটজন বিবাদী রয়েছেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আলমগীর হোসেন উত্তর সিটি করপোরেশন এবং আইনজীবী মোস্তফা আহমেদ দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে গত রোববার আলাদা রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম নবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।

রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্ত হয় ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর। স্থানীয় সরকার [সিটি করপোরেশন আইনের ৩৪(১) (ঘ)] অনুযায়ী বিভক্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে বিভক্ত সিটি করপোরেশনে নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ৬০০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

আবেদনে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকারগুলো জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। স্থানীয় সরকার আইনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখনো নির্বাচন দেননি। এটা সংবিধান ও স্থানীয় সরকার আইনের পরিপন্থী। রিটে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও তফসিল ঘোষণার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। এ ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানে অগ্রগতি জানাতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের আরজিও রয়েছে।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ঘোষিত তফসিল অনুসারে ওই বছরের ২৪ মে ডিসিসি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন না করায় ওই নির্বাচন নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে একটি রিট করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন। আর রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৩ মে রিট আবেদনটি খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন আদালত।