পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠকর্মীদের স্মারকলিপি

বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ভ্রমণ ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠকর্মীরা। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হককে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান; তাঁদের নির্ধারিত ভ্রমণ ভাতা বৃদ্ধি; বেতন বৈষম্য দূরীকরণ; স্বাস্থ্য পরিদর্শকের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক পদে পদায়ন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের পদ ও নাম অপরিবর্তিত রেখে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা প্রদান।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি মো. ফারুক আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে গত বছরের ৮ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মাঠকর্মীদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণপূর্বক তা সমাধানের সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ওই কমিটি গত বছরের ২৬ আগস্ট ও ১৭ সেপ্টেম্বর পরপর দুটি বৈঠক করে একাধিক নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দেয়। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে একাধিক উপকমিটি গঠন করা হয়। এসব উপকমিটি অন্তত ২০ থেকে ২৫ বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। এর ফলে স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশে ২৬ হাজার ৬০০ সুবিধাবঞ্চিত স্বাস্থ্যকর্মীর ন্যায়সংগত পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়কারী এম হারুন অর রশিদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ১৯৮৫ সালের নিয়োগবিধি প্রতি পাঁচ বছর পর পর হালনাগাদ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রায় ৩০ বছরেও এটা হালনাগাদ করা হয়নি। তাই ওই নিয়োগবিধি পরিবর্তন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য সহকারীদের মাসিক ভ্রমণ ভাতা ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ভ্রমণ ভাতা ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ভ্রমণ ভাতা ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন। এখনো এই হারে ভ্রমণ ভাতা দেওয়া হচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই আমরা এই ভ্রমণ ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি।’