মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকারের আন্তরিকতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিচারের কথা বলে সরকার ক্ষমতায় এলেও এখন জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করছে। তাই সাধারণ মানুষের মনে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গতকাল মঙ্গলবার গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণামূলক অনুষ্ঠান ‘মুক্তিকথা’য় ইমরান এইচ সরকার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিক মোল্লা, কমান্ডার কাজী সেলিম, আবদুস সামাদ, মোক্তার হোসেন প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকা উল্লেখ করে স্মৃতিচারণা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য অগ্রজেরা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সোচ্চার। স্বাধীনতার এত বছর পরও তাদের বিরুদ্ধে আমাদের নামতে হয়েছে রাজপথে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুদের নির্মূল করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমরাও দীর্ঘ যুদ্ধে নেমেছি।’
জাদুঘরের মূল ফটকের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে স্লোগানের মাধ্যমে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, একাত্তরে নির্যাতন শুধু পাকিস্তানি বাহিনীই করেনি, তার চেয়েও বেশি নির্যাতন করেছে পাকিস্তানিদের এদেশীয় দোসর জামায়াতেরা। ভুক্তভোগীরা জানেন সে কষ্টের কথা। তাই সেই দোসরদের সর্বোচ্চ শাস্তিই পারে কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে।
অন্য বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের সম্মুখযুদ্ধের বর্ণনার পাশাপাশি বলেন, স্বাধীন ভূমি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হলেও মানুষের সে অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি।