টোল আদায়কারীকে মারধর করলেন সাংসদের লোকজন

মুন্সিগঞ্জে ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে (মুক্তারপুর সেতু) টোল চাওয়ায় স্থানীয় সাংসদ মৃণালকান্তি দাসের সফরসঙ্গী দলীয় নেতা-কর্মীরা টোল আদায়কারীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সাংসদ মৃণালকান্তি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ দুই মাস আগে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস) নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে মুক্তারপুর সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয়। এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির লোকজন টোল আদায় করে আসছিলেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সাংসদ মৃণালকান্তি দাস নিজে ব্যক্তিগত একটি গাড়িতে চড়ে তাঁর সফরসঙ্গীদের দুটি মাইক্রোবাস ও ছয়-সাতটি মোটরসাইকেল নিয়ে সেতু পার হচ্ছিলেন। এ সময় টোল প্লাজায় টোল আদায়কারী জসিম উদ্দিন গাড়িবহরটি আটকান। পরে সাংসদের পরিচয় পেয়ে তাঁর গাড়িটি ছেড়ে দেন তিনি। তবে পেছনের মাইক্রো দুটিকে আটকান। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা দলীয় কর্মীরা দ্রুত সাংসদের গাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। তার পরও পেছনের দুটি গাড়ির টোল দিতে টোলকর্মী চাপ দেন। এতে সাংসদের লোকজন খেপে গেলে টোল আদায়কারী তাঁদেরও ছেড়ে দেন। পরে তাঁরা কাঠপট্টি ঘাট পর্যন্ত সাংসদকে এগিয়ে দিয়ে ফেরার পথে জমিস উদ্দিনকে মারধর করেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মৃণালকান্তি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘টোলের মতো সামান্য টাকা না দেওয়ার কোনো কারণই নেই। তবে আমার গাড়িতে সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ছিলেন। পেছনের আরও দুটি গাড়িতে আরেক সংগীতশিল্পী ওস্তাদ ইয়াকুব আলী ও তাঁর যন্ত্রীরা ছিলেন। আমার লোকজনের কোনো গাড়িই ছিল না। আমার সুনাম নষ্ট করতেই সম্পূর্ণ বানোয়াট এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, সাংসদ বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বলেন, গত রাতে শিল্পীদের নিয়ে সাংসদ মৃণালকান্তি ঢাকায় ফিরেছেন। এটা সত্যি। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই।