জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া পাঁচ আসামির জামিন বাতিল

উদ্ধার হওয়া ১৯ হাজার পিস ইয়াবা বড়িকে জালিয়াতির মাধ্যমে ২৪৩টি দেখিয়ে জামিন হাসিল করা পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিপক্ষের আইনজীবীকে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন। এ ছাড়া তদবিরকারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নির্দেশসহ ঘটনা তদন্ত করতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই পাঁচ আসামি হলেন: মো. সোহেল (২৮), মো. ফেরদৌস (৩০), মো. মহসীন (২৮), মো. মোস্তফা (৩০) ও মো. হাসান (৩৪)। এই পাঁচ আসামির প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১ জুলাই মিরপুরের পূর্ব মণিপুরের ১০৩৬/২ বাসার নিচতলায় পাঁচজনের কাছ থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মিরপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

অভিযোগে বলা হয়, সোহেল, ফেরদৌস, মহসীন ও মোস্তফার কাছ থেকে চার হাজার করে ১৬ হাজার পিস ও হাসানের কাছ থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। পরদিন তাঁদের আদালতে হাজির করা হয় ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। ৫ আগস্ট পুলিশ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার প্রথম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে যায়। এই আদালতে ১ সেপ্টেম্বর আসামিরা জামিন আবেদন করলে তা খারিজ হয়। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ আসামি হাইকোর্টে ফৌজদারি বিবিধ আবেদন করেন। একই বেঞ্চ ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁদের ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। তবে উদ্ধার হওয়া ১৯ হাজার পিসের পরিবর্তে ২৪৩টি ইয়াবা বড়ি দেখিয়ে আসামিরা জামিন আবেদন করেন। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন বাতিল চেয়ে আজ আবেদন করে। আদালতে রাষ্টপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলী জিন্নাহ। আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুস সামাদ।
পরে মো. আলী জিন্নাহ আদেশের বিষয়টি জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিরা জামিন হাসিল করেন বলে ২৫ সেপ্টেম্বর জানতে পারি। এরপর নিম্ন আদালতের আদেশ, জব্দ তালিকা, অভিযোগপত্র ও এজাহারের অনুলিপি সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করি। পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামিদের কাছ থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টে করা জামিন আবেদনে সোহেলের কাছ থেকে ৪০ পিস, ফেরদৌসের কাছ থেকে ৫০ পিস, মহসীনের কাছ থেকে ৪৫ পিস, মোস্তফার কাছ থেকে ৬০ পিস ও হাসানের কাছ থেকে ৪৮ পিস বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়।’