রামুর ঘটনায় আ.লীগের লোক জড়িত: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধমন্দিরে হামলা ও বৌদ্ধদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত ছিল। এটা সবার কাছে পরিষ্কার।

আজ সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা কমিটি আয়োজিত রামু ট্র্যাজেডি স্মরণে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘রামুর ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তার না করে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়।’
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) শাপলা চত্বরে নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করেছে। বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু-খ্রিষ্টানদের ওপর নির্যাতন করেছে।
দেশে কোনো সরকার নেই উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সংসদ বসিয়েছে, যেখানে ভালো কোনো আলোচনা হয় না। গালাগালি, সমালোচনা ছাড়া কিছুই হয় না। জনগণের ম্যান্ডেটে (রায়ে) তারা ক্ষমতায় আসেনি বলে তাদের আইন করার কোনো এখতিয়ার নেই।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের সুবিধার্থে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য নানা রকম আইন করছে। সম্প্রচার নীতিমালা করে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ কখনোই নিজেদের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না উল্লেখ করে খালেদা বলেন, কেউ কোনো কথা বললে মামলা দিয়ে তাদের জেলে পাঠায়।
নিউইয়র্কে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কোনো ধর্মের প্রতি আঘাত করা ঠিক না। যাঁরা ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাঁরা এ ধরনের কথায় কষ্ট পান।’
নারায়ণগঞ্জের ঘটনার কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, র‌্যাবের কয়েকজন সদস্যকে ধরা হলেও আসল গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, বাহবা নেওয়ার জন্য পাসের হার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মেধাবীরা হতাশ হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আজকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারছে না।’ এ সময় আওয়ামী লীগ পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, গোলাম আকবর খন্দকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।