যুক্তরাষ্ট্রে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্যে ক্ষোভ, প্রতিবাদ

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশ। ছবি: প্রথম আলো
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশ। ছবি: প্রথম আলো

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। মন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

গত রোববার বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে মন্ত্রী হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ সময় সভাস্থলে প্রতিক্রিয়া শুরু হলে মন্ত্রী সেখান থেকে দ্রুত চলে যান।

গতকাল সোমবার সারা দিন নিউইয়র্কে এ নিয়ে আলোচনা চলে। ওই দিন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশের জনগণের টাকায় বিদেশে এসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। তিনি তাবলিগ জামাতের মতো নির্দোষ, নিবেদিত ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন।’

বিএনপির নেতা জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের ও টক শোতে অংশগ্রহণকারীদের নিম্নপর্যায়ের গালাগাল করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। এসব বক্তব্যের জন্য মন্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নিউজার্সির বাসিন্দা তাবলিগ জামাতের অনুসারী শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাঁদের মসজিদে তাবলিগ জামাতের অনুসারী ভারত ও পাকিস্তানের মুসল্লিরা মন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন। তাঁরা বিস্মিত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্কপ্রবাসী হাসিনা বেগম বলেন, ‘নবীকে নিয়ে অসম্মানজনক কথা বলার কারণে মন্ত্রীর ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’

চুপষে গেছে আওয়ামী লীগ
নিউইয়র্কে বসবাসরত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কেউই মন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যে তাঁরা ক্ষুব্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কয়েস প্রথম আলোকে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারি মনে করি।’ মন্ত্রী ‘জয় কে?’ বলে যে প্রশ্ন তুলেছেন, এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আহত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতা শেখ আতিক বলেন, কয়েকজন নেতার লাগামহীন বক্তব্যের মাশুল দিতে হয় আওয়ামী লীগকে। মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কী অর্জন করতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।