এখনো তাঁর মন্ত্রী থাকা আশ্চর্যের বিষয়: বি চৌধুরী

মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের কঠোর নিন্দা জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, অগ্রহণযোগ্য নিচুশ্রে​ণির বক্তব্য রাখার পরও এই মন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় থাকা না-থাকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি, এটাই আশ্চর্যের বিষয়!

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মন্ত্রী এবং একটি খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নিউইয়র্কে দেওয়া বক্তব্য শুনে আমি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ, রাসুল (স.), হজ এবং দেশের জ্ঞানী-গুণী মানুষ এবং টক শো নিয়ে লতিফ সিদ্দিকী যেসব উক্তি করছেন, তাতে যেকোনো মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ভাবতে পারে, তিনি বেসামাল অবস্থায় ছিলেন কি না?’
এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরও বলেন, ‘হজ সম্পর্কে আবোলতাবোল কথা বলার আগে মন্ত্রীর ভাবা উচিত ছিল তাঁর দলের নেত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীরা এবং সাংসদেরা আগে হজ করেছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতিও এবার হজে গেলেন। এসব খবর তিনি আদৌ রাখেন কি না?’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, টক শোতে যাঁরা অংশ নেন তাঁদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক উপাচার্য, অধ্যাপক, বাংলা একাডেমির পরিচালক, দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সাংসদ, বিশিষ্ট শিল্পপতি, ব্যবসায়ী নেতা এবং সাবেক ছাত্রনেতারা। এঁদের একটি বড় অংশ এই সরকারের সমর্থক। এঁদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য, অগ্রহণযোগ্য নিচুশ্রে​ণির বক্তব্য রাখার পরও এই মন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় থাকা না-থাকা সম্পর্কে স্বাধীন দেশের সরকারের প্রধানমন্ত্রী এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি, এটাই আশ্চর্যের বিষয়!

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, দুঃখের বিষয় পরপর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী অসংলগ্ন ও অসংযত কথাবার্তা বলেছেন, যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ও অপমানকর। এসব মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারপ্রধান ব্যবস্থা না নিলে অদূরভবিষ্যতে সরকার এবং একটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে জনগণ যে ধারণা পোষণ করবে তা ওই দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও নির্বাচনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে বাধ্য।