স্ত্রীর করা মামলায় শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদারকে (৫০) তাঁর স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি মাসের ১১ তারিখ ঢাকার হাজারীবাগ থানায় সেলিম তালুকদারের স্ত্রী জাহানারা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় আজ বুধবার বিকেলে কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে পুলিশ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে।

এই শিক্ষা কর্মকর্তা ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার ৩০/৩ মনেশ্বর রোডের একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। বর্তমানে তিনি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুল ইসলাম মোবাইলে এই প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার সম্প্রতি যৌতুকের জন্য তাঁর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি জাহানারা তাঁর ভাইবোনদের জানালে তাঁরা তাদের বোনের শান্তির কথা চিন্তা করে সেলিমকে কিছু টাকা যৌতুক দেন। এর কিছুদিন পর তিনি আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জাহানারা ১১ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
দু-এক দিনের মধ্যে তাঁকে বাগেরহাটের জেলা কারাগার থেকে ঢাকার হাজারীবাগ থানায় নিয়ে আসা হবে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ঢাকার হাজারীবাগ থানায় শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী জাহানারা বেগম একটি মামলা করেন। মামলার ওয়ারেন্ট হাতে পেয়ে ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।