অষ্টম মজুরি বোর্ডের সুপারিশে মন্ত্রিসভার একমত

সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মীদের জন্য অষ্টম মজুরি বোর্ডে ৭০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশের সঙ্গে মন্ত্রিসভা একমত পোষণ করেছে। আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্যাপারে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার। তিনি জানান, মজুরি বোর্ড মূল বেতনের ৭০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। এর সঙ্গে মন্ত্রিসভা একমত প্রকাশ করেছে। সুপারিশ বাস্তবায়নে সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন তথ্য, যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও বন এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী। মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অমান্য করলে সংবাদপত্রগুলো সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অষ্টম মজুরি বোর্ডে ৭০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। ঈদের পরে আরেকটি বৈঠক ডাকা হবে। বৈঠকের পরে কমিটির একজন সদস্য গেজেট প্রকাশ করে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করবে।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, মজুরি বোর্ডের সুপারিশে বাড়িভাড়া, চিকিত্সা ভাতা ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের আয়কর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সে দায় বহন করবে মালিকপক্ষ।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বরগুনায় পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ আইন-২০১৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। সরকার চায়, এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হোক। খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার বলেন, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনায় তৃতীয় একটি সমুদ্রবন্দর স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মীদের জন্য রোয়েদাদ (মজুরিকাঠামো) নির্ধারণ করে গত ৩০ জুন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে অষ্টম মজুরি বোর্ডের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে বিদ্যমান সপ্তম মজুরি বোর্ডের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছিল। মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হক তথ্যমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিলেন।

গত বছরের জুন মাসে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মীদের জন্য অষ্টম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। প্রথমে ছয় মাসের মধ্যে বোর্ডকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে আবার সময় বাড়ানো হয়।