স্বজনদের সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রকৌশলীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম নগরের কৈবল্যধাম এলাকায় পণ্যবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে সৌরভ পাল (৩০) নামের অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার সময় সৌরভের সঙ্গে থাকা তাঁর শ্বশুর নিপু নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
আর সৌরভের বড় ভাই প্রিয়তোষ পাল প্রথম আলো কে বলেন, ‘এ বিষয়ে শ্বশুর ও তাঁর স্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। কেননা ওই সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সৌরভ ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। মনোমালিন্য দূর করতে আজ সকালে নগরের কৈবল্যধাম মন্দিরে যান সৌরভ, তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী টেম্পোচালক মোহাম্মদ ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘হঠাৎ করে এক লোক ফৌজদারহাট থেকে পাহাড়তলীগামী মালবাহী ট্রেনের দিকে ছুটছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক লোক তাঁকে আটকানোর জন্য ছুটতে থাকেন এবং তাঁকে থামানোর জন্য আশপাশের লোকজনকে আকুতি জানান। এ সময় শুক্কুর নামের স্থানীয় এক লোক তাঁকে ধাক্কা দিয়ে রেললাইন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। মুহূর্তের মধ্যেই ট্রেনে কাটা পড়েন এই যুবক।’
গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সৌরভ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৯ ব্যাচের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি তিন বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছিলেন। গত বছরের ২ জুন চট্টগ্রামে তাঁর বিয়ে হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসেন সৌরভ। আগামীকাল শনিবার তাঁর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সৌরভ। তাঁদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানের ঊনসত্তর পাড়ায়। তাঁর বাবার নাম গোপাল চন্দ্র পাল।

রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. ওয়াহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’