প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের মারধর করল যুবলীগের একাংশ

জেলা যুবলীগের একাংশের মিছিল থেকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে হামলা, ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় সাংবাদিকেরা যখন এক চিকিৎসকের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন, ঠিক সেই সময় ওই হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে পার্কিং করা পাঁচটি মোটরসাইকেল এবং প্রেসক্লাব ভবনের সম্মেলনকক্ষের কাচ ও অর্ধশতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করে।
হামলায় মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ফাইজার চৌধুরী, চ্যানেল আই ও জনকণ্ঠ-এর রাজীব হাসান কচি, বৈশাখী টেলিভিশনের মরিয়ম শেলী এবং ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন-এর মিজানুল হক মিজান আহত হন। তাঁরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকেরা তাৎক্ষণিকভাবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে আজ রাতের মধ্যেই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান ও ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিল প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে শ্রমিক নিয়ন্ত্রণের ঘটনায় আজ সকাল থেকে জেলা যুবলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতা মিরাজুল ইসলাম কাবা ও গালিবের নেতৃত্বে একটি অংশ শহরে সশস্ত্র মিছিল করে। এ সময় স্থানীয় একটি পত্রিকার এক সাংবাদিক ছবি তোলেন। এর জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকেরা ধারণা করছেন।