টেকনাফে ৫৭ হাজার ইয়াবাসহ আটক ২

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৫৭ হাজার ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে আটক করার দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চলে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. আবুল কাশেম (২২) ও গুলজার বেগম (৪০)।

৪২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টেকনাফের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদের ভাষ্য, সাবরাং ইউনিয়নের আছারবনিয়াপাড়া-সংলগ্ন নাফ নদীর বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আনা হবে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় একটি নৌকা থেকে দুজন লোককে দুটি প্যাকেট নিয়ে নাফ নদীর বেড়িবাঁধে উঠে আসতে দেখা যায়। থামানোর সংকেত দিলে তাঁরা তা না মেনে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বিজিবি ধাওয়া করলে প্যাকেট দুটি ফেলে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে ওই প্যাকেট দুটি উদ্ধার করলে সেখানে ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। উদ্ধার করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে হোয়াইক্যং বিওপির তল্লাশি চেকপোস্টে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস সৌদিয়া পরিবহনে (চট্ট মেট্রো ব-১১-০১৮৯) তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাগুলো ওই বাসের সুপারভাইজার মো. আবুল কাশেমের পায়ে অভিনব কায়দায় বাঁধা ছিল। আবুল কাশেমের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রামপুরা এলাকায়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পুরানপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ইয়াবা বড়িসহ গুলজার বেগমকে (৪০) আটক করে। তাঁর বাড়ি সাবরাং পুরানপাড়ায়।

আরও ৮ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন জানান, আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় একটি মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে পলিথিন ও টেপ দিয়ে মোড়ানো আট হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মোহাম্মদ শাকের (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।