খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি ৬ নভেম্বর

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুটি লিভ টু আপিলের ওপর (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) আগামী ৬ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় ৯ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এ দুটি মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা রিট ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টে খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে ৭ জুলাই তিনি লিভ টু আপিল করেন। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার ক্ষেত্রে করা আবেদনের শুনানির দিন ধার্যের জন্য তাঁর আইনজীবীরা আবেদন জানালে ১৪ অক্টোবর অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি ২৭ নভেম্বর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে এ তারিখ এগিয়ে আনার জন্য ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদন করে। ১৯ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। ২৩ অক্টোবর শুনানির পর আপিল বিভাগ দুদকের আবেদনের ওপর ২৬ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেন।
গতকাল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও এম বদরুদ্দোজা উপস্থিত ছিলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে তিনি একটি লিভ টু আপিল করেন। এটিসহ ওই দুটি মামলায় তাঁর করা পৃথক আবেদন গতকাল কার্যতালিকায় ছিল।
পরবর্তী তারিখ ৯ নভেম্বর: বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে মামলা দুটির কার্যক্রম চলছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাজ্জাদ হায়দার জানান, মামলার বিষয়ে উচ্চ আদালতে দুটি আবেদন শুনানির অপেক্ষায়। তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্য কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়। নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি।