সংগ্রাম-এর সম্পাদকসহ চারজনের ক্ষম প্রার্থনা

বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া এবং তা প্রকাশ করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম-এর সম্পাদক আবুল আসাদসহ চারজন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল রোববার হাজির হয়ে লিখিতভাবে এই নিঃশর্ত ক্ষমা চান আবুল আসাদ, পত্রিকাটির রংপুর প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বদরগঞ্জ থানা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার একরামুল হক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুর রহমান সরকার। আগামী ২০ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল ধার্য দিনে সংগ্রাম-এর সম্পাদকসহ দুজন এবং একরামুল হকের পক্ষে দেওয়া লিখিত জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তাঁদের আইনজীবী মশিউজ্জামান। লিখিত জবাবে বলা হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলে ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। আজিজুর রহমান সরকার নিজেই লিখিত জবাব দাখিল করেন। তিনি বলেন, তাঁকে উদ্ধৃত করে সংগ্রাম-এর প্রতিবেদনে যা প্রকাশিত হয়েছে, এমন কোনো বক্তব্য তিনি দেননি। সংগ্রাম-এর কারও সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি। তিনি পত্রিকাটি পড়েন না, পড়লে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাতেন।
পরে ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া ও তা প্রকাশ করায় গত ৩ আগস্ট ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেন। সেদিন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। আসামিপক্ষের প্রথম সাক্ষী আনোয়ারুল হক সেদিন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার সময় সংগ্রাম-এ প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধকালে আজহারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একরামুল হকের সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। ‘১৯৬৯ থেকে ’৭৪ সাল পর্যন্ত কারমাইকেল কলেজে আজহার নামে কোনো ছাত্রনেতা ছিল না’ শিরোনামে প্রকাশিত অপর প্রতিবেদনে আজিজুর রহমানের সাক্ষাৎকার ছাপা হয়।
ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর।