মধুখালীতে বাসে ডাকাতির ঘটনায় মামলা, আটক ২

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি সেতু এলাকায় সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও যাত্রীদের আহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে। 

এদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা এলাকার মহিষালা এলাকায় একইভাবে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টাকালে জনতা চারজনকে গণধোলাই দিয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, ডাকাতির ঘটনায় গত রোববার রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। বাসের সুপারভাইজার জি এম ফারুক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এ ছাড়া বোয়ালমারী থানা এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে কয়েকজন আটক হয়েছেন। তারাও এই মামলার আসামি।

বোয়ালমারী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, বোয়ালমারীর মহিষালা নামের একটি জায়গায় গতকাল সোমবার রাতে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে সেখানকার স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ দুজনকে আটক করে। এঁরা হলেন এনামুল মণ্ডল ও জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া সুমন ও মিলন নামে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদেরও ডাকাতির মামলার আসামি করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে মধুখালী এলাকায় সোহাগ পরিবহনের একটি বাস ডাকাতির কবলে পড়ে। ডাকাতরা বাসের যাত্রীদের এলোপাতাড়ি কোপালে ১০ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ঢাকা-যশোর মহাসড়কের মধুখালী-কামারখালী অংশে তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এই মহাসড়কে বারবার ডাকাতি হলেও পুলিশ সেটি ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এমনকি ডাকাতেরাও গ্রেপ্তার হচ্ছে না।