হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন রুহুল

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া র‌্যা ব-১১-এর ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সাত খুনের বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, রুহুল আমিনকে গতকাল সকাল নয়টায় নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। বেলা দুইটা পর্যন্ত তিনি পৃথক দুটি মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সাখাওয়াত হোসেন আরও জানান, রুহুল আমিনকে তিন দফায় ১৯ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। চতুর্থ দফায় আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক মো. ইব্রাহিম হত্যা মামলায় আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এই রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে গতকাল দুটি মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন রুহুল আমিন। এর একটি হলো চন্দন সরকার ও ইব্রাহিম হত্যার অভিযোগে চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের করা হত্যা মামলা। অন্যটি প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলামের করা মামলা। রুহুল আমিন জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত হওয়া, খুন হওয়া সাতজনকে অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের বিস্তারিত এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। রুহুল আমিন দাবি করেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র।
সাত খুনের ঘটনায় প্রায় পাঁচ মাস পলাতক থাকার পর ৭ অক্টোবর পটুয়াখালীর বাউফল থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সাত খুনের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জন র‌্যা ব সদস্যসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুহুল আমিনসহ ১৩ জনই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর নয়জন র‌্যা ব সদস্যসহ মোট ১৪ জন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।