ট্রাকের ধাক্কায় ঝরে গেল মা-মেয়ের প্রাণ

নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে একটি ট্রাক রিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ের মৃত্যু ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে একটি ট্রাক রিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ের মৃত্যু ঘটে। এতে ক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য, নারায়ণগঞ্জ

দুই মেয়েকে নিয়ে মা রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে আচমকা ধাক্কা মেরে দিল গমবোঝাই ট্রাক। নিমেষে ঝরে গেল এক মেয়েসহ মায়ের জীবন। আরেক মেয়ে গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকার সেলিম সারোয়ারের স্ত্রী শিরিন আক্তার (২৮) ও তাঁদের মেয়ে জয়িতা (৪)। আহত আরেক মেয়ে অর্পিতা (১২) খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

দুর্ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করলে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়ায় বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য
দুর্ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করলে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়ায় বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বলেন, বেলা ১১টার দিকে শিরিন বালুর মাঠ এলাকার বাসা থেকে তাঁর দুই মেয়ে অর্পিতা ও জয়িতাকে নিয়ে রিকশায় করে খানপুর যাচ্ছিলেন। মিশনপাড়া মোড়ে একটি গমভর্তি ট্রাক পেছন থেকে রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শিরিন আক্তার ও জয়িতা মারা যান।
ওসির ভাষ্য, এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে ট্রাকটিতে আগুন দেয়। তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ওসি জানান, ঘটনার পর থেকে চালক পলাতক। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।