খাল-পুকুরের ভাঙনে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে খাল ও পুকুরের ভাঙনে গত আড়াই মাসে ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের চন্দনবাড়িয়া খালে বড় বড় ঢেউ। লোকজন বড় নৌকায় করে এই খাল পার হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে এই খালের প্রস্থ ছিল ১০-১২ হাত। গত ২০ মে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে খালে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ঢোকে এবং বড় মানিকাসহ আশপাশের তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। খালটি দুই পাশে ভাঙতে ভাঙতে এখন এর প্রস্থ অন্তত ৩০০ হাত। রোববার পর্যন্ত আড়াই মাসে খালের দুই পাশের ১১০টি পরিবারের বাড়িঘর, বেশ কয়েকটি দোকানপাট বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া বড় মানিকা ও পক্ষিয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন খালের ভাঙনে প্রায় ৫০টি ঘর বিলীন হয়েছে। তিনি আরও জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের আঘাতে মেঘনাপারের ইউনিয়নগুলোর বাড়িঘর বিলীন হচ্ছে।

সদর উপজেলার দায়িত্বে থাকা পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী ফজলে এলাহী বলেন, শুধু বোরহানউদ্দিনেই নয়, ভোলা সদর উপজেলায় ধনিয়া ও কাচিয়া ইউনিয়নের ভোলা খাল, গাড়িয়াল খালসহ তিন-চারটি খালের একই অবস্থা। এসব খালের দুই পাশের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। ভেঙে গেছে সেতু-কালভার্ট।