মেয়েদের বিয়ের বয়স না কমানোর আহ্বান

মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ বছরে নামিয়ে আনা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। এই সিদ্ধান্ত নারীর মানবাধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৮টি নারী, মানবাধিকার এবং উন্নয়ন সংগঠনের মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি এই আহ্বান জানায়। কমিটির পক্ষে মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বিয়ের বয়স না কমিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর সরকারি উদ্যোগের কথা জানার পরপরই সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি এর প্রতিবাদ জানায়। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা জানতে চান প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছেন কি না? উত্তরে আয়শা খানম বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের বয়স না কমানোর ব্যাপারে মত দিয়েছেন। তাঁরা যেহেতু সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আছেন, তাই আশা করা যায় তাঁরা সরকারের ভেতরের কথাই বলছেন।
আয়শা খানম বলেন, সরকার তার অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত সামাজিক কমিটির কর্মসূচি অব্যহত থাকবে। ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হবে। তাতে নির্দিষ্ট করে বিয়ের বয়স কমানোর সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদ জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, বিয়ের বয়স কমানো হলে বাল্যবিবাহকে আইনগত বৈধতা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উপপরিচালক রওশন জাহান পারভীন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উপপরিচালক শাহানাজ চুমকি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নাজরানা ইয়াসমিন, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক লতিফা বানুসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।