তীব্র জট, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে শম্বুকপগতিতে যানবাহন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় জামায়াতের কর্মী আবদুল্লাহ আল রাসেল ও পুলিশের গুলিতে আবু বকর সিদ্দিক পারভেজ নামের এক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতভর অবরোধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার ভোরে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে তীব্র যানজট থাকায় যান চলাচল করছে শম্বুকগতিতে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা।
এলাকায় সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ, বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে আহত নয় পুলিশ সদস্যের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শিবিরের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোরে যান চলাচল শুরু হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়িগুলো এলোমেলো থাকায় তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। অবরোধ চলাকালে জামায়াত-শিবিরের ক্ষুব্ধ কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বাস, সিএনজিচালিত তিনটি অটোরিকশা, দুটি মোটরসাইকেল, দুটি ট্রাক, একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেন এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে কমপক্ষে ৬০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন ইমরান বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। যান চলাচল করছে স্বাভাবিক নিয়মে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
চট্টগ্রাম (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দীন বলেন, পুলিশের দুই উপপরিদর্শক ও দুই সহকারী উপপরিদর্শকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের যথাযথ চিকিত্সা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের পরিচয় জানাননি তিনি।