ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি মন্ত্রীর, যানজটে অস্থির মানুষ

যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে আজ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছিল দীর্ঘ যানজট। কম-বেশি একই অবস্থা ছিল অন্যান্য সড়কেও। ছবি: প্রথম আলো।
যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে আজ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ছিল দীর্ঘ যানজট। কম-বেশি একই অবস্থা ছিল অন্যান্য সড়কেও। ছবি: প্রথম আলো।

যানজটে অস্থির মানুষ। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী হাজারও গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাভার থেকে টাঙ্গাইল এলাকায় কার্যত দাঁড়িয়ে আছে। উত্তরাঞ্চচলগামী বাসের চালক ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, এমন যানজট তাঁরা কখনো দেখেননি।

এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলার ভেলানগরে একটি ফুট ওভারব্রিজ এবং জঙ্গি-শিবপুর-রায়পুরা সড়কে দুটি সেতু উদ্বোধনকালে বলেছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যেন অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে ঈদের আগেই সব সড়কের মেরামত কাজ করা হয়েছে এবং যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী মোবাইল মেইনটেন্যান্সের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সচল রাখার কথাও জানান।

ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী নাবিল পরিবহনের চালক আক্তার হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ভাই এমন জ্যাম আমি আমার জন্মে দেখি নাই। খালি গাড়ি আর গাড়ি। সকালে রওনা দিয়া এখনো টাঙ্গাইল পার হইতে পারি নাই। কখন গিয়া পৌঁছামু আল্লাহ জানে। তিন ঘণ্টা ধইরা টাঙ্গাইলেই বইসা আছি। এক ঘণ্টায় ১৫ কিলো রাস্তাও পার হইতে পারি নাই।’

প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ওই বাসের যাত্রী মো. আবদুল হামিদ জানান, পঞ্চগড়ে যেতে তাঁদের সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা লাগে। সেখানে আজ ১০ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল ছাড়তে পারেননি তাঁরা। হামিদ তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছেন। তিনি জানান, তাঁর শিশু সন্তানটির বয়স আট মাস। বাড়ি থেকে তার জন্য যে খাবার রান্না করে আনা হয়েছিল সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। শিশুটি ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে।

উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা জানান, দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকা পড়ে থাকায় অনেক চালকই ধৈর্য হারিয়েছেন। তাঁরা যেদিকে পারছেন সেদিকে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শৃঙ্খলা আনতে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। বহু যাত্রী গাড়িতেই কোনো রকমে ইফতার করেছে। বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ খোলা ট্রাকে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে তাদের অবস্থাও সঙ্গিন।