আদিলুরকে দুপুরে আদালতে নেওয়া হবে

আদিলুর রহমান
আদিলুর রহমান

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে আজ রোববার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৭ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাসুদুর রহমান বলেন, আদিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তবে তাঁকে কত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
ইলেকট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ-সংক্রান্ত তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে আদিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁর গুলশানের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। 
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্য হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় বা রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন  হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে অপরাধ। কোনো ব্যক্তি এর অধীন অপরাধ করলে তিনি অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ডে অথবা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

গত ১০ জুন মানবাধিকার সংস্থা অধিকার একটি তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করে, ৫ ও ৬ মে শাপলা চত্বরে অভিযানের ঘটনায় শত শত হেফাজতকর্মী নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে তারা ৬১ জনের প্রাণহানির খবর জানায়।

এরপর ১০ জুলাই তথ্য মন্ত্রণালয় অধিকারের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনটি চেয়ে পাঠায়। সরকার নিহত ৬১ জনের নাম, তাঁদের বাবা-মায়ের নাম ও ঠিকানা চেয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহতের সংখ্যা নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ও ঘটনা জনগণের সামনে প্রকাশে সরকার আন্তরিক। ৬ ও ৭ মে দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক ইনকিলাবসহ অন্যান্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট তন্ন তন্ন করে খুঁজেও ১৬ জনের বেশি নিহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’

অধিকারকে লেখা তথ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি পড়ুন ।

Letter from Information Ministry to Odhikar (1)
Letter from Information Ministry to Odhikar (1)