আবারও বিসিবিতে আসতে চান সাবের

সাবের হোসেন চৌধুরী
সাবের হোসেন চৌধুরী

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ বুধবার বিকেলে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছার কথা জানান।

ক্রিকেট খেলাটিকে দেশের জাতীয় সম্পদ আখ্যা দিয়ে খেলাটির উন্নয়নে সবার একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী, ‘ক্রিকেট এমন এক জায়গায় চলে এসেছে, যেখানে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। খেলাটির উন্নয়নে সকলেরই দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে অশুভ ছক তৈরি হয়েছে, সেটাকে ভাঙতেই নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন করে জেতাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’

বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্রকে ‘অসম’ উল্লেখ করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘২০০০ সালে আমি বোর্ড সভাপতি থাকাকালে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ক্লাবগুলো যেন ক্রিকেট উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করেছিলাম। বর্তমানে ওটাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা ও ক্লাবের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে।’

বর্তমান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং তিনি উভয়ই সরকারি দলের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও বোর্ডের নির্বাচনে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন। ব্যাপারটিকে ‘ক্ষতিকর’ হিসেবে দেখতে চান না বিসিবির সাবেক এই সভাপতি। তাঁর মতে, সরকারি দলের দুই সাংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে তা ক্রিকেট বোর্ডের গণতন্ত্রায়নের জন্য শুভ হিসেবেই বিবেচিত হবে। দলের জন্যও ব্যাপারটি ইতিবাচক হবে।

সাবের হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান ক্রিকেট বোর্ডে নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাক, যোগ্য ব্যক্তিরা জিতে আসুক।’ বাংলাদেশ ক্রিকেটের চলমান সংকটকালের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি ক্রিকেটের জন্য চ্যালেঞ্জের। এ সময় অবশ্যই আমাদের সকলের বিসিবির পাশে দাঁড়ানো উচিত।’ বিপিএলের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি, ‘এই বিপিএলের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কীভাবে দায়িত্ব পেল, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা কারা কীভাবে পেল, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

আইপিএলের আদলে বিপিএল আয়োজনের সমালোচনা করে সাবের বলেন, ‘হুবহু নকল না করে বিপিএল তো অন্যভাবেও করা যেত। দেশের বাজার বিবেচনা করে এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’

বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং সম্পর্কে সাবের বলেন, ‘প্রথম বিপিএলে পাকিস্তানি এক ক্রিকেটারকে (নাসির জামশেদ) স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। একজন জুয়াড়িকে আটকও করা হয়েছিল। তখন যদি বিসিবি এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে দিত, তাহলে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে এটি এত বাজে চেহারা নিত না।’

সাবের হোসেন চৌধুরী দেশের ক্রিকেটের বিভিন্ন স্তরের পাতানো খেলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানান। তাঁর মতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে পাতানো খেলা রোধ করা দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরি।