কাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন।
সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে টুঙ্গিপাড়া যাবেন। এরপর তাঁরা বঙ্গবন্ধু সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় সালাম এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করবেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসকের কাছে রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় জানান, ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টার যোগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন। সকাল ১০টায় তিনি জাতির পিতার মাজারে পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি টুঙ্গিপাড়ার রাষ্ট্রীয় এ কর্মসূচি শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার সেখ আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত অপর এক ফ্যাক্স বার্তায় জেলা প্রশাসককে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছাবেন। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বেলা ১১টায় মাজার কমপ্লেক্স মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে তিনি অংশ নেবেন। এরপর তিনি ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।’
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার মহাসড়কে অসংখ্য কালো কাপড়ের বঙ্গবন্ধু তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। মাজার কমপ্লেক্স ও আশপাশের এলাকায় কালো পতাকা ও কালো কাপড় দিয়ে শোকের আবহ সৃষ্টি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।