সেই বাদলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

নারায়ণগঞ্জে শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা বাদল রায়ের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে বাদল রায়সহ ছয়জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় ওই মামলা করেন নরসিংদীর স্বর্ণ ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাস।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাদলের স্ত্রী নয়ন তারা রায়, ছেলে কৃষ্ণ রায়, ভাই বিদ্যুৎ রায়, সুভাষ কর্মকার ও গোবিন্দ ঘোষ। এ নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা মডেল থানায় সাতটি মামলা করা হলো।

আসামিদের মধ্যে শুধু বাদল, কৃষ্ণ ও বিদ্যুৎ জেলহাজতে। নয়ন তারা জামিনে আছেন। অন্য দুজন পলাতক।

গৌরাঙ্গ চন্দ্র এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি নরসিংদীর স্বর্ণ ব্যবসায়ী। লভ্যাংশের আশায় ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার দেওভোগ জিউস পুকুরপাড় এলাকায় অবস্থিত বাদল রায়ের বৈশাখ-আশ্বিন সমিতিতে ৫৫ লাখ টাকা জমা রাখেন। এরপর লভ্যাংশ তো দূরের কথা, তাঁর সঞ্চিত টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করেন বাদল রায় ও তাঁর সহযোগীরা। একসময় বাদল ও তাঁর সহযোগীরা টাকা না দিয়েই পালিয়ে যান।

গৌরাঙ্গ মামলায় আরও উল্লেখ করেন, বাদল তাঁর মতো কয়েক হাজার লোকের প্রায় শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, বাদল রায় জেলা কারাগারে বন্দী। তাঁকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।