হরতালে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি অনেক শ্রমিক

টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কারণে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া গাজীপুরের টঙ্গীর পোশাক কারখানার অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। গতকাল বুধবার টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার এলিগেন্স সোয়েটার, পেন্টন সোয়েটার, কোলোসাসসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে শ্রমিকের উপস্থিতি খুবই কম।

এলিগেন্স সোয়েটার কারখানার মহাব্যবস্থাপক মো. জমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কারখানায় ১০০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। ঈদের পর মাত্র ৬৫ জন শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরেছেন। অনুপস্থিত শ্রমিকেরা মুঠোফোনে জানিয়েছেন, হরতালের কারণে তাঁরা ফিরতে পারছেন না।’

টঙ্গী বিসিক এলাকার এহসান সোয়েটার, জিনস অ্যান্ড ফ্যাশন, ঢাকা ডায়িং, নোমান ফেব্রিক্সসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ঘুরে একই চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।

এহসান সোয়েটার কারখানার মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার এক দিন পর থেকেই হরতাল শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে অনেক শ্রমিক মুঠোফোনে কারখানার কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, গাড়ির টিকিট না পাওয়ার কারণে হরতালের আগের দিন তাঁরা ফিরতে পারেননি। তাঁর কারখানায় ৬০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে ১৮০ জন এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি।

টঙ্গী স্টেশন রোডে অবস্থিত এনা পরিবহনের টিকিট বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. তুহিন জানান, ঈদের আগে পর্যায়ক্রমে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে যান। অনেকে ঈদের এক সপ্তাহ আগেই পরিবার পাঠিয়ে দেন।

কিন্তু ঈদের পর সাধারণত সবাই একসঙ্গে ফিরে আসতে চান। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না। গত রবি ও সোমবার প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহনের টিকিট না পাওয়ার কারণে অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি।