৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ জিতত না

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র রক্ষা পেত না। আইপিইউ ও সিপিএ নির্বাচনেও বাংলাদেশ জিতত না।
দশম সংসদের ১৫৩ জন সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সংসদের মেম্বারস ক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে স্পিকার এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজে)।
অনুষ্ঠানে সিপিএর নির্বাহী কমিটির নবনির্বাচিত চেয়ারপারসন ও স্পিকার শিরীন শারমিন এবং আইপিইউর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
স্পিকার আরও বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধান আছে। যত প্রশ্নই উঠুক না কেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা না করলে কী হতো? গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা পেত? আর গণতন্ত্র না থাকলে সিপিএ ও আইপিইউতে বাংলাদেশ জিততে পারত? আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখলাম।’
সাবের চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব গণতন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে। দুটি সংগঠনের ৪৫ হাজার সদস্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশের সংসদকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। দলগুলোকে ঠিক করতে হবে তারা সংসদ সদস্য হিসেবে কাদের মনোনয়ন দেবে। আমাদের সংসদ সদস্যদের দলীয় সদস্য বলা হয়। কিন্তু আমরা যে জনগণের সংসদ সদস্য সেটা গণমাধ্যমে বলা হয় না। সরকার ও সংসদের মধ্যে যে ভিন্নতা রয়েছে, সেটা তুলে ধরতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে রাজনৈতিক দলকে।’
বিপিজেএর সভাপতি উত্তম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংগঠনের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিস সৈকত ও সাধারণ সম্পাদক কামরান রেজা চৌধুরী।