তিন সংগঠনের প্রতিবাদ

সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারী-কাটাখালী এলাকায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাগেরহাট ও বরিশালের তিনটি সংগঠন। তারা বলেছে, তারা বিদ্যুৎ চায়, তবে সুন্দরবনকে ধ্বংস করে নয়। তাই অবিলম্বে সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধসহ সুন্দরবনবিধ্বংসী সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। গতকাল দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন ও বাগেরহাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের দুটি সংগঠন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাগেরহাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান আইনজীবী শেখ মোহামঞ্চদ জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্ব যাদের, সেই পরিবেশ অধিদপ্তর এখন সুন্দরবনের সন্নিকটে বিদুৎকেন্দ্র নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়ে দিল। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধসহ সুন্দরবনবিধ্বংসী সব কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বাগেরহাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কো-চেয়ারম্যান ও রামপাল উপজেলা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুশান্ত দাস ও সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী শেখ তাহসিন আলীসহ কৃষিজমির মালিকেরা সংবাদ সমেঞ্চলনে উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরবনের পরিবেশ, প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে রামপালের উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এদিকে, বরিশালে গতকাল সুন্দরবনসহ কৃষিজমিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ। সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া ছাড়পত্র অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে সুন্দরবনসহ দক্ষিণাঞ্চল।