জাতীয় শোক দিবসে কর্মসূচি পালন নিয়ে সংঘর্ষ, বিভক্তি

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পিরোজপুরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। পটুয়াখালী ও সুনামগঞ্জে কর্মসূচি পালন নিয়ে দেখা দেয় বিভক্তি। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গতকাল ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা হলেন শাওন সিকদার (২২), মো. হানিফ (৩৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ সিকদার (৩৭) ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. সুমন খন্দকার (২৮)।
সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র‌্যালি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর একপর্যায়ে সুমন খন্দকারকে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা না দেওয়ায় সভামঞ্চের সামনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গতকাল রাতে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান আম্মান ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম মিঠু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউখালীতে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সুমন খন্দকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক রাহুল দেব ও তৌকির আহমেদ, সদস্য রিসাত হোসেন, রাজু তালুকদার, আল আমিন, রহিম হাওলাদার, মিজান তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, হাসান হোসেন ও রাজিব সাহাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছেন। এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সরকারদলীয় হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন বাউফল পৌরসভার মেয়র ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াউল হক। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আলাদাভাবে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, শোক র‌্যালি, দোয়া, আলোচনা সভা ও কাঙালিভোজের আয়োজন করেন।
সুনামগঞ্জ: জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংসদ মতিউর রহমান গতকাল জাতীয় শোক দিবসে শহর ও শহরের বাইরে কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিলেও জেলা আওয়ামী লীগের শোক র‌্যালি ও আলোচনা সভায় ছিলেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ মতিউর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদার মধ্যে কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তাঁরা দুজনই সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ নিয়েই মূলত দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।