ছাত্রদল-যুবদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা

ফরিদপুরে ছাত্রদল ও যুবদলের মিছিলে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তিন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে মিছিলটি বের করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পূর্ব খাবাসপুর মোড় এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। সেটি শহরের ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার সামনে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তখন নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর বসে থানা ফটকের সামনে সমাবেশের উদ্যোগ নেন। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিন নেতা-কর্মীকে আটক করে। আটক তিনজন হলেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শামীউল হক তালুকদার (৩০), যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান (৩০) ও কর্মী মুনিব হাসান (২৮)।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল দে বলেন, নেতা-কর্মীদের আটকের খবরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেনজীর থানায় এসে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানান। কিন্তু পুলিশ দাবি না মানায় তাঁকেও গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় অবস্থান নেন ছাত্রদল সভাপতি। গতকাল বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেনজীর আহমেদ থানাতেই ছিলেন।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলটি বের করা হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা এবং নেতা-কর্মী আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান যুবদলের নেতা কিবরিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহসিনুল হক বলেন, থানার সামনের সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ওই তিন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।