শরীয়তপুরে আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, আহত ৮

শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান শিকদারের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। সদর উপজেলার পশ্চিম সোনামুখী গ্রামে এ হামলায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ আট ব্যাক্তি আহত হন।
শরীয়তপুর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাহাড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আলমগীর হাওলাদার বিজয়ী হন। সিদ্দিকুরের পক্ষে নির্বাচন করেন মজিবর রহমান। আর রুদ্রকর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজগর কাজী নির্বাচন করেন আলমগীর হাওলাদারের পক্ষে। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাঁদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মজিবর রহমানের বাড়িতে হামলা, তিনটি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলাকারীরা খড়ের গাদা ও লাকড়ি রাখার ঘরে অগ্নিসংযোগ করে চারটি গরু নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে মজিবর রহমান ও তাঁর স্বজন রুবেল শিকদার, শামছুল হক, মফিজ, নাজমুল, আফজাল, দেলোয়ার ও নুরুজ্জামান আহত হন। তাঁদের মধ্যে শামছুল ও রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় মজিবর রহমান অভিযোগ করেন, দলীয় সিদ্ধান্তে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পাহাড়কে সমর্থন করলে ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীর হাওলাদার আলী আজগরকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন।
তবে আলী আজগর কাজী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব মুন্সি বলেন, আলমগীর বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাচনে জয়লাভ করায় তাঁর সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কুপিয়ে আহত করেছেন। অনেক নেতা-কর্মীর ঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করেছেন।
সদর থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।