বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকারীরা কুলাঙ্গার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকারীরা কুলাঙ্গার। এ ধরনের ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না।
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ভবনে গতকাল শনিবার জেলা আওয়ামী লীগ এবং টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে তাঁর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন এ জাতির প্রকৃত ইতিহাস জানে। যারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করে, তারা কুলাঙ্গার। এ ধরনের মন্তব্যকারীরা ছাড় পাবে না। তাদের বিচার করবে জনগণ।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নকাজের খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি যত দ্রুত সম্ভব দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল শেষ করতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র, সংবিধান ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অসাংবিধানিক পথে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, ওই সব গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি যাতে দেশে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান, শেখ হেলাল উদ্দিন, উম্মে রাজিয়া কাজল, নাজমা বেগম, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজা মিয়া, সহসভাপতি সিকদার নূর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী, টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার খায়ের, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। পরে তিনি শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।