ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত!

এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি কম না নেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গতকাল রোববার ফেনীর পরশুরাম সরকারি কলেজের একজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের ভাষ্যমতে, গতকাল বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল করিম ওরফে নিহাদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী পরশুরাম সরকারি কলেজে প্রবেশ করেন। তাঁরা কলেজে ঢুকে হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কয়েকজন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের ফি কম নেওয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ কমিটির আহ্বায়ক ও গণিত বিভাগের প্রভাষক শামসুল আলম আরিফকে চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই প্রভাষককে গালাগাল করেন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় কলেজের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের কথা না শুনলে ওই শিক্ষককে কলেজ ছাড়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
প্রভাষক শামসুল আলম আরিফ তাঁকে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রমোদ কুমার নাথ বলেন, একজন শিক্ষককে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করার কথা তিনি জেনেছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা নন। তাঁরা কলেজের ছাত্রও নন। তিনি জানান, বোর্ড ফি ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ফি কম নেওয়ার সুযোগ নেই।
কোনো শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল করিম বলেন, পরীক্ষার ফি ও বেতনের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে গেলে কিছুটা তর্কবিতর্ক হয়েছে মাত্র।