ঝুলে আছে পাঁচটি প্রকল্পের কাজ

বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় চলতি অর্থবছরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গুরত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন (আইইউআইডিপি) পাঁচটি প্রকল্পের কাজ ঝুলে আছে।
এসব প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৫৯৫ মিটার সড়কের সংস্কারকাজ করার কথা।
শেরপুর পৌরসভার প্রকৌশলী বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, দরপত্রের ঠিকাদাররা এসব প্রকল্পের বিপরীতে দরপত্র জমা দিয়েছেন চলতি বছরের ৭ আগস্ট। এসব দরপত্র নিয়ে সাড়ে চার মাসে পৌর দরপত্র কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে
এখন পর্যন্ত ওই কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি।
এসব সড়কের মধ্যে রয়েছে পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর শিশুপার্ক থেকে ইদু মিস্ত্রির বাড়ি পর্যন্ত ৩৫৫ মিটার, একই ওয়ার্ডের বারনীঘাট থেকে দীলিপের বাড়ি পর্যন্ত ৩৩০ মিটার। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দলোক স্টুডিও থেকে বিকাল বাজার মোড় পর্যন্ত ২০০ মিটার, পীরজামাল মাজার থেকে পৌর বিটুমিন কার্পেটিং সড়ক পর্যন্ত ১৫০ মিটার, একই ওয়ার্ডের হাইওয়ে (ফলপট্টি) থেকে গোড়াস্টোর পর্যন্ত ৩২০ মিটার এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের রণজিত দত্তের বাড়ি থেকে হাইওয়ে সড়ক পর্যন্ত ২৪০ মিটার পাকাকরণের কাজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই সড়কে সঠিক সময়ে সংস্কারকাজ শুরু না করায় সড়কের মূল অবকাঠামো ধসে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য সড়কেরও পিচ-পাথর উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ওই সব মহল্লার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার না করায় মহল্লাবাসী সড়কে চলাচল নিয়ে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। কাউন্সিলরদের দ্রুত সড়ক সংস্কার করার অনুরোধ জানিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোবিন্দ বাগচি স্বীকার করেন, তাঁর ওয়ার্ডের সড়কগুলো সংস্কার না করায় মহল্লার বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য পৌর প্রকৌশলী বিভাগে একাধিকবার তাগাদা দিয়েও কোনো উপকার হয়নি।
পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের মধ্যে তিন-চারজন বলেন, ওই দরপত্রে প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১৮৬টি দরপত্র জমা পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ঠিকাদার বলেন, ওই দরপত্রে প্রকল্পগুলোর প্রাক্কলিত ব্যয়ের বিপরীতে ঠিকাদাররা ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা কম মূল্যে দরপত্র জমা দেন।
পৌরসভার দরপত্র কমিটির সদস্য কাউন্সিলর মোসাম্মৎআঞ্জুমান আরা লায়লা বলেন, দরপত্র জমা পড়ার পর এখনো ওই সব প্রকল্প নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সভা ডাকা হয়নি। এ জন্য এত দিন সংস্কারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার দরপত্র কমিটি এসব প্রকল্প নিয়ে সভা না হওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। ঠিকাদারও নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ব্যাপারে শিগগিরই সভা করার প্রস্তুতি রয়েছে।