মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আইনজীবীসহ ছয়জনের সাজা

নোয়াখালী শহরের হরিনারায়ণপুর এলাকায় ২০০৮ সালে একটি কালীপূজা মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এক আইনজীবীসহ ছয়জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কবিতা শারমীন আক্তার এ রায় দেন।
আইজীবীদের সূত্রে জানা যায়, দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এ কে এম সাইফুদ্দীন, স্থানীয় শিহাব উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, মো. তুহিন, মনির হোসেন ও মো. রোমান। সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
সূত্র আরও জানায়, রায় ঘোষণার সময় মনির হোসেন ও মো. রোমান ছাড়া বাকি চার আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ড পাওয়া আইনজীবী সাইফুদ্দীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় জেলা বার নেতারা একই আদালতে আসামির জামিন আবেদন করেন। আদালত রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিকে ১৫ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সুরঞ্জিত বণিক জানান, ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর এলাকার রায়বাহাদুর বাড়ির কালীমন্দিরে কালীপূজা চলাকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এসে পূজায় বাধা দেন ও চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁরা মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় স্বপন চন্দ্র পাল বাদী হয়ে সুধারাম থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল বিশেষ জজ আদালত আট আসামির মধ্যে দুজনকে খালাস এবং বাকি আসামিদের এক বছর করে সাজা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কাজী এ বি এম শাহজাহান ছয় আসামির এক বছর করে সাজা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাজা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে সাজা কার্যকর করা হবে।