মহাসমাবেশের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন আসছে কেন?

জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু।
জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু।

‘জাতীয় পার্টির (জাপা) মহামাবেশ আয়োজনে বিপুল ব্যয় নিয়ে কেন প্রশ্ন আসছে’, সাংবাদিকদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি যখন মহাসমাবেশ করে, তখন কি আপনারা ব্যয়ের উৎস জিজ্ঞেস করেন? তখন আপনাদের এ প্রশ্ন আসে না কেন?’
আজ মঙ্গলবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মহাসমাবেশ আয়োজনে বিশাল ব্যয়ে অর্থের উৎস কী?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জিয়াউদ্দিন বাবলু এ কথা বলেন। আগামী ১ জানুয়ারির মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, ‘আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে, কারণ আজ ছন্দপতন ঘটছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপির মতো জাপাও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করছে।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, সরকারের সহযোগিতা বা ছত্রছায়ায় জাপা মহাসমাবেশ করছে না। এর জন্য কোনো চাঁদাবাজিও করছেন না তারা। মহাসমাবেশ আয়োজনের অর্থের উৎস স্বচ্ছ। এর হিসাব কমিশনে জমা দেবে জাপা। তিনি বলেন, ‘সরকার মহাসমাবেশের জন্য টাকা দিচ্ছে, কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি মহাসচিবের পদে থাকব না।’
১ জানুয়ারির হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানান জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দিন তাদের কর্মসূচির বিকল্প কর্মসূচি দেইনি। তাই আমাদের কর্মসূচি ব্যাহত হয়, এমন কর্মসূচি দেবেন না।’ একই সঙ্গে তিনি রাজনীতিতে প্রতিহিংসার সংস্কৃতির পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান।
জাপার মহাসচিব দাবি করেন, এ দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি ১৯৯১ সালে শুরু করে বিএনপি। তখন জাপার ১৪৫টি জনসভায় বিএনপি ১৪৪ ধারা জারি করে বানচাল করে দেয়। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আজ উনার জন্য দুঃখ হয়। তিনি এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন। এই উদাহরণ তিনিই সৃষ্টি করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এম এ হান্নান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এস এম ফয়সাল চিশতী, যুব সংহতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ভুইয়া প্রমুখ।