'বন্দুকযুদ্ধে' হত্যার অভিযোগে মামলা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজলপুরে ১২ আগস্ট পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত বিল্লাল হোসেনের মৃত্যুকে ঠান্ডা মাথায় খুন বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা আতিয়ার রহমান।
এ ঘটনায় তিনি দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার আমলি আদালতে (‘খ’ অঞ্চল) চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ এনেছেন। মামলায় সাত-আটজন পুলিশ সদস্য ও সাদা পোশাকধারী আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শেখ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। বাদী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান মামলায় দাবি করেন, বিল্লাল অস্ত্রধারী বা কোনো নিষিদ্ধ দলের সদস্য ছিলেন না। তিনি ৭ আগস্ট জামিনে ছাড়া পান। এরপর স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সময় মিজানুর রহমান তাঁকে ক্রসফায়ারে দেওয়া বা মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে প্রায়ই চাঁদা আদায় করতেন।
বন্দুকযুদ্ধের আগে মিজানুর ঈদ উপলক্ষে বিল্লালের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, বিল্লাল তাঁর শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ চাঁদপুরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ১২ আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মিজানুর রহমান, পোশাকধারী অজ্ঞাতনামা সাত-আটজন পুলিশ সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এবং সাদা পোশাকে তিনজন মুখোশধারী রামদা নিয়ে ওই বাড়িতে যান। এরপর শোয়ার ঘরে ঢুকে হাতকড়া লাগিয়ে বিল্লালকে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান তাঁরা।
রাত তিনটা ৫৫ মিনিটে গোলাগুলির শব্দ শুনে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দক্ষিণ চাঁদপুর-উজলপুর রাস্তার পাশে হাতকড়া পরা অবস্থায় বিল্লালের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান জানান, মামলার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে জেলার পুলিশ সুপার আবদুর রহিম শাহ চৌধুরী ইতিপূর্বে সাংবাদিকদের জানান, নিহত বিল্লাল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, বোমা হামলা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।