গণিতে ধরাশায়ী যশোর বোর্ড

পাঠ্যসূচিতে নতুন বই সংযোজন ও গণিত বিষয়ে খারাপ ফলাফলের কারণে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমে গেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৬৮৫ জন। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৭০৪ জন। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় এবার ৪ হাজার ১৯ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ কম পেয়েছে। তবে পাসের হার কিছুটা বেড়েছে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে ৮০ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে। যেখানে গত বছর ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ গণিতে এ নম্বর পায়। এতে গড় ফলাফলে জিপিএ-৫ কমে গেছে।
জিপিএ-৫ কম পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু দাউদ প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীরা গণিতে সৃজনশীল পদ্ধতির প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা নতুন এ পদ্ধতি ঠিকমতো বুঝতে পারেনি। যে কারণে গণিতে ফলাফল খারাপ হয়েছে। এতে সামগ্রিকভাবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমে গেছে।
যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, গত দুই বছরে জেএসসির পাঠসূচিতে ২৫০ নম্বরের চারটি নতুন বই সংযুক্ত করা হয়েছে। যে কারণে লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের অনেক চাপ পড়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে গোটা ফলাফলে। গণিতে সৃজনশীল পদ্ধতি বুঝতে না পারা জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার একটি কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৯ জন উত্তীর্ণ হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৮৭৩ জন মেয়ে ও ৮৪ হাজার ৭২৬ জন ছেলে। ১০ হাজার ৬৮৫ জিপিএ-৫ প্রাপ্তের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫৪ জন মেয়ে ও ৫ হাজার ১৩১ জন ছেলে। সে হিসাবে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তের উভয় দিক থেকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সেরা ২০ এ যশোরের নয় প্রতিষ্ঠান: বোর্ডের সেরা ২০ এর তালিকায় যশোরের নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে তালিকার চার নম্বরে রয়েছে পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচ নম্বরে শেখ আকিজ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতে আকিজ আইডিয়াল স্কুল, আটে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ১০ এ যশোর জিলা স্কুল, ১১ নম্বরে সখিনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ১৩ নম্বরে দাউদ পাবলিক স্কুল, ১৭ নম্বরে কেশবপুর সেকেন্ডারি স্কুল ও ২০ নম্বরে বিএএফ শাহিন কলেজ। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ।