আজ ও কাল হরতাল ডেকেছে জামায়াত

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশকে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট রায়’ বলে মন্তব্য করেছে দলটি। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজহারুলের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ওই মন্তব্য করেন এবং হরতালের কর্মসূচি দেন। অর্থাৎ দলটি ২০১৪ সালের শেষ দিনে এবং ২০১৫ সালের প্রথম দিনে হরতাল দিল। দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অন্যান্য মামলার রায়ের পরও জামায়াত হরতাল দিয়েছিল।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আজ সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবারও সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত হরতাল চলবে। অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
বিবৃতিতে মকবুল আহমাদ বলেন, ‘মাননীয় আদালত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায়, সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে তাঁর (আজহার) বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের যে রায় ঘোষণা করেছেন, তা একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। এ রায়ে আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। উচ্চ আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করলে তিনি খালাস পাবেন বলে আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি।’
মকবুল আহমাদ দাবি করেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতাদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক শিকার আজহারুল ইসলাম। সরকার ‘মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক’ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে দলীয় লোকদের দিয়ে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। তিনি বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করেছে, দেশ-বিদেশে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের বক্তব্যে প্রতীয়মান হয় যে আদালতের বিচার কার্যক্রম সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিবাদ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি সরকারি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে। আর সরকারের যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত বিচার কার্যক্রমকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।’