মেঘনার বুকে বিস্তীর্ণ এলাকায় বালুচর

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বালুচর জেগে উঠেছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে লঞ্চ-স্টিমারসহ বড় নৌযান চলাচল। চর খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ও বারদী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার খামারগাঁও ও নুনেরটেক গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর বুকে চার বছর ধরে বালুমাটি জমাট বেঁধে চর পড়ছে। প্রতি বর্ষায় বালুমাটি জমে আনন্দবাজার থেকে নাকুটি ভাঙ্গা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় চর পড়ায় চার বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে উপজেলার বারদী বাজারের ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারছেন না।
সিলেট-সুনামগঞ্জ নৌযান বহুমুখী মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আজগর ভূঁইয়া বলেন, ‘মেঘনার বুকে চর পড়ে যাওয়ার কারণে চার বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে আমরা নৌযান নিয়ে চলাচল করতে পারছি না। অন্য পথ ঘুরে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।’
বারদী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ পথ বন্ধ থাকায় সড়কপথে আমরা পণ্য আনা-নেওয়া করি। এ কারণে আমাদের খরচ বেশি হয়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেশি দরে বিক্রি করতে হয়।’
বারদী লোকনাথ আশ্রম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর কুমার দে জানান, অবিলম্বে চর পড়ে যাওয়া জায়গাটি খনন করে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে আনতে হবে।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন সরকার বলেন, সরকার এখনই যদি চরটি খনন না করে এর প্রভাব এলাকার মানুষ ছাড়াও সারা দেশেই পড়বে। চরটি খনন করার জন্য আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঁঞা জানান, চরটি খনন করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে।