সরকারি কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গোপালগঞ্জে ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শাহরিয়ার মতিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী বাদী হয়ে গত বুধবার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখার সাবেক কানুনগো আবদুল জব্বার, উচ্চমান সহকারী ফিরোজ মাহমুদ, উমেদার সজিদ মোল্লা ও জমির ভুয়া মালিক সদরের বেদগ্রামের বাসিন্দা রাজীব মিয়া।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে শহরতলির বেদগ্রামের ২৬ শতাংশ সরকারি জমি ভুয়া নাম দেখিয়ে শাহরিয়ার মতিন, আবদুল জব্বার ও ফিরোজ মাহমুদ মুন্সি তিনটি চেকের মাধ্যমে সাজিদ ও রাজীব হোসেনের সহায়তায় ৩১ লাখ ১৭ হাজার ২৬৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফিরোজ মাহমুদ মুন্সি বাদী হয়ে শাহরিয়ার মতিনকে আসামি করে একটি চুরির মামলা করেন। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) চুরির সঙ্গে দুর্নীতি দমন আইনের ধারা যুক্ত করে মামলাটি দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠান। দুদক ফরিদপুরের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহার তদন্তে টাকা আত্মসাতে শাহরিয়ার মতিন সঙ্গে ফিরোজ মাহমুদ মুন্সিসহ পাঁচজনের নাম উঠে আসে।
মো. ফজলুল বারী জানান, ফিরোজ মাহমুদ মুন্সিসহ এলএ শাখার কর্মচারীরা নিজেদের রক্ষার জন্য শাহরিয়ার মতিনের নামে চুরির মামলা করেছিলেন। তদন্তে দেখা গেছে, তাঁরা পাঁচজন যোগসাজশ করে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।