২৭ দিন পরও খোঁজ মেলেনি ১৬ জেলের

২৭ দিন পার হওয়ার পরও বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ এফবি মুক্তি-১ ট্রলারের ১৬ জেলের সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় তাঁদের স্বজনেরা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
নিখোঁজ ট্রলারের মালিক বিলাস রায় ওরফে কালু জানান, গত ১০ ডিসেম্বর এফবি মুক্তি-১ পূর্ব সুন্দরবনের বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে পরদিন ভোররাতে ইলিশ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রলারে মোট ১৬ জন জেলে (মাঝিমাল্লা) ছিলেন। ট্রলারটি মাছ শিকার করে ১০-১২ দিনের মধ্যে সাগর থেকে ফিরে আসার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত আরও ১৪-১৫ দিন অতিবাহিত হলেও ট্রলারটি ফিরে না আসায় মহাজন ও জেলে পরিবারে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। ওই ট্রলারে ছিলেন মাঝি মো. শাহ আলম ফরাজী, জেলে ইউনুচ হাওলাদার, তহিদুল হাওলাদার, শাহজাহান হাওলাদার, বারেক তালুকদার, হেমায়েত হাওলাদার, আলামীন মোল্লা, হালিম হাওলাদার, আবদুল্লাহ খান, আব্বাস আকন, হাচান সিকদার, ফারুক খান, মধু খান, কামাল হাওলাদার ও নাঈম হাওলাদার। তাঁদের সবার বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এ ছাড়া ছিলেন ট্রলারের মিস্ত্রি শামছুদ্দিন হাওলাদার। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায়।
গত সোমবার শরণখোলার কয়েকজন জেলের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়। হারুন খান, কালন হাওলাদার, মিনারা বেগমসহ কয়েকজন জানান, এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় ৩১ ডিসেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সহযোগিতা চেয়ে ইউএনও এবং ডিসি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, হয়তো ট্রলারটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে ভাসতে ভাসতে ভারত বা মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে গেছে। দস্যুরা অপহরণ করলে বা কাছাকাছি কোথাও থাকলে যেকোনোভাবে তার সন্ধান পাওয়া যেত।
ইউএনও মো. অতুল মণ্ডল বলেন, ‘জেলেদের সন্ধানে প্রশাসনের উচ্চ মহলে যোগাযোগ করে চলেছি।’ মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম অঞ্চলের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আলাউদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা সুন্দরবন উপকূলে আমাদের সব স্টেশন ও টহল বোটগুলোকে নির্দেশনা দিই। কিন্তু¦এখনো সন্ধান মেলেনি। আর গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান চালানোর মতো উপযোগী নৌযানের সংকট রয়েছে। তার পরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’