তারেক-সালামের বিরুদ্ধে পুলিশের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

উসকানি দিয়ে পুলিশে বিদ্রোহের চেষ্টা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁও থানায় পুলিশ এই মামলাটি করে।
৪ জানুয়ারি রাতে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত একটি সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০ মিনিটের একটি বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন (ইটিভি)। এরপর ৬ জানুয়ারি ভোরে কারওয়ান বাজারে ইটিভির কার্যালয়ের নিচ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁকে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যেই মামলাটির এজাহারে সালামের নাম নেই। সেই মামলায় গতকাল সালামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
পুলিশ জানায়, ৪ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে (ক্যালেন্ডারের হিসাবে ৫ জানুয়ারি) ইটিভিতে তারেক রহমানের ভাষণ প্রচারের পর ৭ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করে পুলিশ (জিডি নম্বর ৩৫০)। এর ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার আবেদন করা হয়। গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে এই মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
অনুমোদন পাওয়ার পর গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক বোরহানউদ্দীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অপরাধ সংঘটনের ঘটনাস্থল হিসেবে ইটিভি কার্যালয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। তারেক ও সালাম ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, গতকাল বিকেলে মামলাটি দায়ের হয়েছে। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ইটিভির চেয়ারম্যানের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ: পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে আবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকার মহানগর হাকিম মেহের নিগার গতকাল এ আদেশ দেন।
তারেকের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ: তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি ও সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ এনে এ-সংক্রান্ত একটি আবেদন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মের বরাবর দাখিল করা হয়েছে। গত বুধবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আবেদনটি দাখিল করে।