বিয়ে করতে এসে ঘটকসহ বর কারাগারে !

অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে এসে কারাগারে যেতে হয়েছে ১৫ বছর বয়সী কিশোর বর এবং দুই পক্ষের দুই ঘটককে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফরিদুর রহমান গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ওই তিনজনকে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার উকতো গ্রামের বাবলু মণ্ডলের ছেলে হাসিবুল হোসেন (১৫) এবং ঘটক একই গ্রামের লিটন হোসেন (৩৪) ও রমজান আলী (৩৬)। গতকাল রাতেই তাঁদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর সহশিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের গাংপাড়ায়। গতকাল দুপুরের পর বরযাত্রীসহ হাসিবুল বিয়ে করতে আসে। খাওয়া-দাওয়া চলাকালে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও ফরিদুর রহমান, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রাজকুমার পাল ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে সেখানে উপস্থিত বিয়ে নিবন্ধক (ম্যারেজ রেজিস্ট্রার) পালিয়ে যান।

এদিকে বরসহ বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে ইউএনও বর ও কনের জন্মনিবন্ধন সনদ দেখতে চান। কোনো পক্ষই তা দেখাতে না পারলে বর এবং দুই ঘটককে পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ইউএনও ফরিদুর রহমান জানান, ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করায় তার বাবা-মাকে রেহাই দেওয়া হয়। আর সেখানে ছেলের বাবা-মা ছিলেন না।