পিটিয়ে শিবিরকর্মীর পা ভেঙেছে পুলিশ!

যশোরে পুলিশের পিটুনিতে শাকিল হোসেন নামের এক শিবিরকর্মীর একটি পা ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পড়ে গিয়ে পা ভাঙে শাকিলের। তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ পাহারায় যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শাকিল (২২) যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শহরের খড়কি এলাকার একটি ছাত্রাবাসে থাকেন। বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার দুপুর দুইটার দিকে শহরের খালধার রোডের যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজের পাশ থেকে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাঁকে আটক করে। রাতে মুখ বেঁধে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তাঁর বাঁ পা ভেঙে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা বাবুল কিশোর বলেন, শাকিলকে বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের হাড় ভাঙা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ডান পায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শিবিরের এই কর্মীকে নির্যাতন করে পা ভেঙে দিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বলেন, পড়ে গিয়ে শিবিরের এই কর্মীর একটি পা ভেঙে গেছে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর কাছ থেকে ছয়টি বোমা ও ১০-১২টি লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।